চট্টগ্রামে থেমে থেমে ঝরছে বৃষ্টি, এ পরিস্থিতিতে বাড়তে শুরু করেছে শুরু করেছে ডেঙ্গুজ্বরের প্রকোপ। টানা বৃষ্টি শেষে সেপ্টেম্বরের শুরু থেকেই ডেঙ্গু ঘিরে বাড়ছে বিপদ। এরই মধ্যে রাজনৈতিক পালা বদলের পর সংঘাত, সহিংসতা, হামলা, মামলাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ৪১টি ওয়ার্ডে মশক নিধনসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে নেমে এসেছে মন্থর গতি। দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে এডিস মশা নিয়ে মহাবিপদের মুখে চট্টগ্রাম। সেপ্টেম্বর শুরুর পরপরই বেড়েই চলেছে ডেঙ্গু রোগী ও নিহতের সংখ্যা।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর চট্টগ্রামে ১ হাজার ৬৮ জনের ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে, যেখানে চলতি সেপ্টেম্বরে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৭০ জন। তা ছাড়া চলতি বছর ডেঙ্গুতে প্রাণ হারিয়েছেন ১৩ জন, আটজনই মারা গেছেন চলতি সেপ্টেম্বরে। নিহতের মধ্যে দুজন অন্তঃসত্ত্বা নারীও রয়েছেন। তাছাড়া দুই শিশুও ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। এ পরিস্থিতিকে উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিভাগ। আক্রান্তদের মধ্যে ৭৪৫ জনই নগরীর। এ ছাড়া ১৫ উপজেলায় মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৫২৩ জন। উপজেলাগুলো মধ্যে লোহাগাড়ায় ১৫৫ জন এবং সাতকানিয়ায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭০ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
স্বাস্থ্য বিভাগ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সেপ্টেম্বরের দিকে শেষ হয় বর্ষা মৌসুম। এ সময় অনেকটা থেমে থেমে বৃষ্টি থাকে। এ পরিস্থিতিতে এডিস মশা লার্ভা ছড়ানোর উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়। তাই সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আগস্টের শেষ দিকে সেপ্টেম্বরের শুরু থেকেই বাড়তে শুরু করে এডিস মশার বিস্তার। এ কারণেই সেপ্টেম্বর থেকেই বাড়তে শুরু করে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ, যা নভেম্বর পর্যন্ত চলতে থাকে। এ সময় বাড়ির আঙিনা, বাগান, ছাদ এবং পরিত্যক্ত টব ও অন্যান্য সামগ্রীতে যাতে পানি জমে না থাকে সে বিষয়ে সচেতন হতে বাসিন্দাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে।
সিভিল সার্জন জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, মৃত্যুর বিষয়টি অ্যালার্মিং। পুরো স্বাস্থ্য বিভাগে ডেঙ্গু নিয়ে অ্যালার্ট করা হয়েছে। প্রতিটি সরকারি হাসপাতাল ও কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু কর্ণার রয়েছে। ডেঙ্গু আক্রান্তদের সেবা নিশ্চিতে পুরোদমে কাজ করছে স্বাস্থ্যবিভাগের প্রতিটি কর্মী।
Post a Comment